December 22, 2024, 9:22 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
এক মাসের বেশি সময় ধরে কলকাতায় আটকা ১৫ বাংলাদেশি নাবিককে দেখতে গিয়েছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের এক কর্মকর্তা। ঐ কর্মকর্তা কলকাতা বন্দরে গিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেখা করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও। এ ছাড়া উপহাইকমিশন বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনে বাংলাদেশি নাবিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে।
তবে কবে নাগাদ তারা দেশে ফিরতে পারবেন, এ বিষয়ে ঐ কর্মকর্তা কিছুই নিশ্চিত করেননি।
গত ২৪ মার্চ কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের (কলকাতা পোর্ট) নেতাজি সুভাষ ডকে (পণ্য খালাস স্থান) জাহাজে পণ্য বোঝাইয়ের সময় কাত হয়ে উল্টে ডুবে যায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট-১। জাহাজে থাকা পাইলটসহ ১৫ জন নাবিক এ সময় কোনোমতে প্রাণ বাঁচান।
বন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁদের উদ্ধার করে কলকাতা মেরিন ক্লাব হোটেলে (সি ম্যান হোস্টেল) রাখে। নাবিকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সরকার বা ভারতের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না।
নবিকদের একটি সত্র জানায়, তারা যাতে সেখানে সহজে থাকতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। ঐ কর্মকর্তা সেখানে যাওয়ার পর তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল সেটি আর নেই।
জানা গেছে, আটকা নাবিকদের পাসপোর্ট থাকলেও ভিসা নেই। তারা নিয়মমাফিক জিও নিয়ে কলকাতা বন্দরে এসেছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ ডুবন্ত জাহাজটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করলে বিপদে পড়েন নাবিকেরা।
ভিসা না থাকায় তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজন ভারতের বৈদেশিক নাগরিক নিবন্ধন দপ্তর বা এফআরআরও দপ্তর থেকে অনুমতিপত্র। সেই পত্র ইস্যু করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকেই চিঠি দিতে হবে এফআরআরও দপ্তরে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে ১৫ নাবিক দেশে ফিরতে পারবেন।
এক মাসের বেশি সময় ধরে আটকা থাকলেও নাবিকদের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন নাবিকদের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা হয়।
সেখানে ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট–১-এর প্রধান প্রকৌশলী বক্তব্য দেন। দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বাঁচতে চাই, আমাদের বাঁচান।’
Leave a Reply